
| Headline : |
|
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রামে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
তামাক করনীতি প্রণয়ন ও কর ফাঁকি রোধে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি
।। বার্তা প্রেরক:- রেশমা আক্তার জলি। শিক্ষাতথ্য ডটকম।।
|
|
দৈনিক শিক্ষাতথ্য, ঢাকা (২৮ নভেম্বর, ২০২৫) :-
শক্তিশালী তামাক করনীতি প্রণয়ন ও কর ফাঁকি রোধে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে ক্রিয়েটিভ সোসাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার বা সিএসডিসি। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে তামাক সেবনের হার জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অন্যতম বড় বাধা। প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে দেশে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে এবং আরও বহু মানুষ দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন। পাশাপাশি তামাক উৎপাদন ও ব্যবহার পরিবেশ, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।তারা আরো বলেন, বর্তমানে দেশে একটি শক্তিশালী তামাক করনীতি না থাকায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ২০৪০ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি ও ক্রয়ক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। ক্রিয়েটিভ সোসাল ডেভলপমেন্ট সেন্টার বা সিএসডিসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ এমদাদুল হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরো যারা বক্তব্য রাখেন তারা হলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শহীদুল ইসলাম সাগর, মোঃ আব্দুল মজিদ, মোঃ সাইদুর রহমান খান, মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও মোঃ খোকন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে সিএসডিসির পক্ষ থেকে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন যে, তামাক নিয়ন্ত্রণে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই প্রয়োজন কার্যকর উপায়ে করারোপ, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগীকরণ এবং একটি শক্তিশালী ও স্থায়ীত্বশীল তামাক করনীতি প্রণয়ন। কর ও মূল্য বৃদ্ধি কিশোর ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাসে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এতে নতুন প্রজন্মের তামাকে আসক্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়, যা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে।তারা আরো লিখেছেন, অন্যদিকে তামাক কোম্পানিগুলো নানা কৌশলে কর ফাঁকি দিচ্ছে। তন্মধ্যে, সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের (MRP) অধিক মূল্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে খুচরা বিক্রেতাদের বাধ্য করা অন্যতম। যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ধারা ৪০ এর পরিপন্থী। এই অতিরিক্ত মূল্যের উপর কোনো কর প্রদান না করায় সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সঙ্গে এই অবৈধ মুনাফা ব্যবহার করে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন প্রচার ও সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের ভাবমূর্তি ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে, যা তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো আড়াল করছে। তাছাড়া, বহুস্তরবিশিষ্ট (Ad-valorem) তামাক কর কাঠামো ও দুর্বল কর আদায় ব্যবস্থা কোম্পানিগুলোর জন্য কর ফাঁকির সুযোগ সৃষ্টি করছে। বাজারে ট্যাক্স স্ট্যাম্পবিহীন বিদেশি সিগারেট অবাধে বিক্রি হচ্ছে এবং দেশীয় সিগারেট প্যাকেটে ব্যবহৃত ট্যাক্স স্ট্যাম্প যাচাইয়ের কোনো আধুনিক ব্যবস্থা নেই। যা কর আদায় ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।এই প্রেক্ষাপটে, সিএসডিসির পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত ৪টি দাবিও পেশ করেন। দাবিগুলো হলো- ১. বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও একটি স্থায়ীত্বশীল তামাক করনীতি প্রণয়ন; ২. মূল্যস্তর কমানোসহ সুনির্দিষ্ট তামাক কর (Specific Tax) পদ্ধতি প্রবর্তন; ৩. তামাক কর আদায় ব্যবস্থার আধুনিকায়ন; ৪. সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) বাস্তবায়নে প্রশাসনিক তদারকি ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা। |