মাসিক শিক্ষাতথ্য পত্রিকা ২০০৮ সাল থেকে প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশিত হচ্ছে যার রেজি: ডি.এ. নাম্বার: ৫০৮৫, ঢাকা
প্রিন্টিং সংস্করণ
মঙ্গলবার ৭ অক্টোবর ২০২৫ ২১ আশ্বিন ১৪৩২
প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারি শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় এক সহকারি শিক্ষকের আকূল প্রার্থনা
Published : Wednesday, 6 March, 2019 at 4:27 PM, Update: 06.03.2019 6:48:28 PM










বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

বিষয়: প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারি শিক্ষকদের  ১১তম গ্রেড প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।











মহাত্মন,
যথাবিহিত সন্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার অধীনস্ত ১২নং গোপালাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোড়াঘাট দিনাজপুর’র একজন সহকারি শিক্ষক। আমি নিজেকে শুধু বাংলাদেশের একজন প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে চাই।
প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের প্রধান হিসেবে আপনি মূল কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করছেন। আপনি তথা আপনার সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই প্রাথমিক শিক্ষায় যুগান্তকারী গতিশীলতা লক্ষ্য করছি যা এখানে দু’কলম লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝে  প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের বিষয়টি হয়তো আপনার দৃষ্টির আড়ালেই রয়ে গেছে যা নিম্নে বিনয়ের সাথে তুলে ধরছি।
‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত’- এ কথা পানির মতো পরিষ্কার। আর শিক্ষার ভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা যদি মানসম্মত না হয় উপরের শিক্ষা কখনই মানসম্মত হবে না। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড এবং মেরুদন্ডের কারিগর আমরা শিক্ষক তথা শিক্ষার ভিত্তি স্থাপনকারী প্রাথমিক শিক্ষক এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। সেই কারিগর যখন আত্নসন্মান নিয়ে দুঃচিন্তায় থাকে সেক্ষেত্রে কাঙ্খিত শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে  কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়।
তুলনামূলক বেতন ভাতা অন্যান্য দপ্তরের জনবলের থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনেক কম, বিশেষ করে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকদের বেতন ভাতা একেবারেই নিম্নমানের। এইচএসসি পাশ অন্য দপ্তরের একজন ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা অথচ প্রাথমিকে সহকারি শিক্ষক পদটি যে কোন শ্রেণির তাও সুস্পষ্ট নয়! 
বাংলাদেশ সরকারের এমন কোন দপ্তর নেই যেখানে প্রাথমিক শিক্ষকদের ব্যবহার করা হয় না, অবশ্য এ আমি নেতিবাচক দিক হিসাবে দেখি না বরং ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে নিজে গর্ববোধ করি।বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের বাইরেও আমরা প্রাথমিক শিক্ষক সাফল্যের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করি। যেমনঃ স্বাস্থ্য সেবা, স্থানীয় নির্বাচন থেকে জাতীয় নির্বাচন, আদমশুমারী, পরিবারের সংখ্যা (খানা গণনা), ভিক্ষুক জরিপ সহ অসংখ্য দায়িত্ব সততার সাথে পালন করি আমরা প্রাথমিক শিক্ষকগণ এবং এসব কার্যক্রম চলমান।
সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকা মারফত জানতে  পেরেছি, সরকার প্রাথমিকের সহকারি প্রধান পদ সৃজন করে প্রধান শিক্ষক ১০, সহকারি প্রধান শিক্ষক ১১তম এবং সহকারি শিক্ষক ১২তম প্রদান করে সে গ্রেডে বেতন স্কেল নির্ধারণ করা ও তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এমনটি যদি বাস্তবায়িত হয় তবে সহকারি শিক্ষকগণ আজীবন বৈষম্যের শিকার হবে। যেখানে প্রধান শিক্ষক যে গ্রেডে চাকুরী শুরু করবেন, সহকারি শিক্ষক সেখানে চাকুরী শেষ করবেন সে গ্রেডে! এমন সিদ্ধান্ত প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকদের জন্য আজন্ম হতাশার কারণ হবে।
সহকারি প্রধান শিক্ষক সৃজনে অনেক বেকার যুবসমাজ কর্মসংস্থান সুযোগ পাবে যা দেশের বেকারত্ব কমাতে অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে অনেক মন্ত্রণালয়ের জনবলের বিভিন্ন পর্যায়ে দাপ্তরিক প্রধান ও সহকারি দাপ্তরিক প্রধানের বেতন গ্রেড একই। অনুরূপভাবে প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক পদের একই বেতন গ্রেড করলে কোন সমস্যা হবে না। কেন একই উক্ত পদ দুটোর একই গ্রেড তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছি। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে প্রধান ও সহকারি শিক্ষক পদ একই বেতন-ভাতা ছিল। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বর্তমানে প্রধান ও সহকারি শিক্ষক পদের বেতন-ভাতার দিক থেকে বিরাট পার্থক্য হয়ে তিন ধাপ কমবেশি হয়েছে (প্রধান ১০/১১তম, সহকারি ১৪/১৫তম)।নিশ্চয় এমন ব্যবধান কারোরই কাম্য নয়।
অতি সম্প্রতি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জাকির হোসেন  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বলেছেন, প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেড ও সহকারি শিক্ষক ১১তম গ্রেড প্রদানে সরকার কাজ করছে, দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে। আশা করি বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ মতে সহকারি শিক্ষক ১২তম গ্রেড বাস্তবায়ন না করে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহকারি শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন করবে বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার। যদি এর ব্যত্যয় হয় তবে সহকারি শিক্ষকগণ হতাশাগ্রস্ত হয়ে মানসিক হীনমন্যতায় ভুগবেন!
উপরোক্ত সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকদের একমাত্র প্রাণের দাবিটি পেশ করছি-
(১) প্রধান শিক্ষক পদটি মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ মোতাবেক ২০১৪ খ্রিঃ হতে সত্যিকারের (২য় শ্রেণির বেতন ভাতা সহ)  ২য় শ্রেণি পদমর্যাদা দিয়ে ১০ম গ্রেড প্রদানে ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেন ২৫/২/২০১৯ খ্রিঃ। যেহেতু সহকারি প্রধান শিক্ষক পদ সৃজিত হচ্ছে সুতরাং প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক পদ একই বেতন গ্রেড (১০ম) ও সহকারি শিক্ষক পদের  বেতন গ্রেড (১১তম) করা অতিব জরুরি।
আপনি আমাদের  লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষকের অভিভাবক, পিতা-মাতা। আমরা আপনার অধীনস্ত কর্মচারী বা সন্তানতূল্য। সে কারণে আপনিই আমাদের মৌলিক দাবি/আবেদনের বিষয়ে মূল কান্ডারী।আমার বিশ্বাস, প্রাথমিক শিক্ষার কান্ডারী, বর্তমান সরকার প্রধান, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা, জননেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ মহোদয় আমাদের উপস্থাপিত বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।
অতএব, প্রার্থনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মানবতার কাণ্ডারী জননেত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ আমাদের সহকারি শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১তম বাস্তবায়নে উন্নয়নের মডেল বর্তমান সরকার প্রধান হিসেবে মূল কান্ডারীর ভূমিকা পালন করত প্রাথমিক শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও প্রাথমিক শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠিতকরনে আপনার সুমর্জি হয়।

 বিনীত নিবেদক,
-----মো. ফারুক হোসেন
সহকারি শিক্ষক
১২ নং গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর।



এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও প্রকাশকের পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনী।



সর্বশেষ সংবাদ
সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন না হলে দেশ চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে
আটোয়ারীতে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
আটোয়ারীতে টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা
সোনাতলা উপজেলা কল্যাণ সমিতির অভিষেক, গুণীজন ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
সর্বাধিক পঠিত

  • ফেসবুকে আমরা
    বিশেষ জ্ঞাতব্য: বিজ্ঞাপন ও অনুদানের চেকটি Masik ShikshaTotthow নামে A/C Payee প্রদান করতে হবে। অথবা হিসাবের নাম: মাসিক শিক্ষাতথ্য (Masik ShikshaTotthow), হিসাব নাম্বার: ৩৩০২২৩৮৪, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, শিল্পভবন কর্পোরেট শাখা, ঢাকা”-তে অনলাইনে ক্যাশ/চেক জমা দেওয়া যাবে। তৃতীয়ত: ক্যাশ পাঠানো যাবে-বিকাশ: ০১৮১৯১৪৩৬৬৪, ০১৭১৫৬৬৫৫৯২। রকেট: ০১৭১৬২০৫৩০৪০। এজেন্ট ব্যাংকিং নাম্বার: ৭০১৭৫১১৭৬০৬২৭ (ডাচ-বাংলা ব্যাংক)।


    ● সাক্ষাৎকার
    ● শিক্ষা সংবাদ
    ● সারাদেশ
    ● জাতীয়
    ● রাজনীতি
    ● আন্তর্জাতিক
    ● সাহিত্য চর্চা
    ● চাকরীর তথ্য
    ● ব্যাংক-বীমা অর্থনীতি
    ● সম্পাদকীয়
    ● শুভ বাংলাদেশ
    ● সুধীজন কথামালা
    ● বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি
    ● প্রতিষ্ঠান পরিচিতি
    ● শিক্ষক কর্ণার
    ● শিক্ষার্থী কর্ণার
    ● সফলতার গল্প
    ● বিশেষ প্রতিবেদন
    ● নিয়মিত কলাম
    ● মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা
    ● অনিয়ম-দুর্নীতি
    ● ভর্তি তথ্য
    ● বিনোদন
    ● লাইফস্টাইল
    ● খেলাধুলা
    ● ধর্ম ও জীবন
    ● পাঠকের মতামত
    ● জন্মদিনের শুভেচ্ছা
    ● বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা
    ● শোকগাঁথা
    ● স্বাস্থ্যতথ্য
    ● শিক্ষাতথ্য প্রকাশনী
    ● টিউটোরিয়াল
    ● ইতিহাসের তথ্য
    ● প্রবাসীদের তথ্য
    ● অন্যরকম তথ্য
    ● শিক্ষাতথ্য পরিবার
    সম্পাদক ও প্রকাশক: মুহাম্মাদ তছলিম উদ্দিন
    ২২৩ ফকিরাপুল (১ম লেন), মতিঝিল, ঢাকা থেকে সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক প্রকাশিত
    এবং প্রিন্ট ভার্সন : আলিফ প্রিন্টিং প্রেস, ২২১ ফকিরাপুল (১ম লেন), ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।
    ফোন: ৭১৯১৭৫৮, মোবাইল: ০১৭১৫৬৬৫৫৯২। বিজ্ঞাপন: ০১৮১৯১৪৩৬৬৪,
    ইমেইল: shikshatotthow@gmail.com (নিউজ এন্ড ভিউজ), ad.shiksha2008.gmail.com (বিজ্ঞাপন)